বাংলা নাট্যসাহিত্যের জন্মই হয় মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখনীতেঃ নিউজজি২৪ (প্রকাশ ২৫ জানুয়ারি ২০২৪)

 ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাংলা সাহিত্যের একজন ছাত্র হিসেবে এই মহাকবির মহাকাব্য ‘মেঘনাদবধ’ এর সাথে যেমন পরিচয় ঘটেছে, তেমনি পড়া হয়েছে ‘বঙ্গভাষা’ এবং ‘কপোতাক্ষ নদ’-এর মতো চমৎকার চতুর্দশপদী কবিতাও। যা প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে। তবে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তারও বেশ আগে বাংলা নাট্যসাহিত্য জগতে পদচারণা শুরু করেন।

বাংলা নাট্যসাহিত্য জগত বলা কতটা ঠিক হচ্ছে তা নিয়েও আমার মাঝে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। কেননা বাংলা নাট্যসাহিত্য কিংবা মৌলিক বাংলা নাটক বলতে যা বোঝায় তা তখনও অনুপস্থিত ছিল বাংলা সাহিত্য সম্ভারে। মূলত রামনারায়ণ তর্করত্ন বিরচিত ‘রত্নাবলী’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়ে মাইকেল মধুসূদন বাংলা নাট্যসাহিত্যে উপযুক্ত নাটকের অভাব বোধ করেন এবং এই অভাববোধ থেকেই তিনি বাংলা নাট্যসাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত হয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত শর্মিষ্ঠা নাটক। যা ছিল বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক।

১৮৬০ সালে মাইকেল মধুসূদনের লেখনীতে আমরা পাই ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং  ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামক দুইটি প্রহসন। যা বাংলা নাট্যসাহিত্যকে দিয়েছে অনন্য এক মাত্রা। একই বছরে তিনি রচনা করেন পূর্ণাঙ্গ নাটক পদ্মাবতী। যেখানে তিনি প্রথম ব্যবহার করেন অমিত্রাক্ষর ছন্দ। যা বাংলা সাহিত্যে দারুণ সংযোজন। ১৮৭৩ সালে মৃত্যবরণের আগে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন তার শেষ রচনা ‘মায়াকানন’ নাটক। বাংলা নাট্য সাহিত্যের প্রতি তার প্রেম ও অনুরাগ হয়ত এ থেকেই অনুধাবন করা যায়।

বাংলা কবিতা ও কাব্য জগতে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান নিয়ে নতুন করে বলার হয়ত কিছু নেই। তার তৈরি বিখ্যাত সব কাব্য ও কবিতা ছাড়া বাংলা সাহিত্য অনেকটাই অপূর্ণ। তবে বাংলা নাট্য জগতের সূচনা হয়েছে যার লেখনীতে, বাংলা সাহিত্য প্রথম মৌলিক নাটক পেল যার অসাধারণ প্রতিভায়, সেই মহান নাট্যকারের জন্ম যে হয়েছিলে এই দিনে, এই দেশেই। কেবল কবি নয়, বাংলা নাট্য জগতের পুরোধা মাইকেল মাইকেল মধুসূদন দত্তকে গর্বের সহিত শ্রদ্ধা জানাই একজন বাংলা সাহিত্য প্রেমী হিসেবে।

https://www.newsg24.com/feature-news/14531/?fbclid=IwAR21m9DMDrWCJE1aFmUGoL7AB2xIQh70WgTt0-p3MUnX1RLh48YoWXtZYgE

No comments:

Pages