কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে পারেন এভাবেও!


‘যোগাযোগ’ শব্দটি খুব ছোট ও সহজ মনে হলেও এর ব্যাপকতা অনেক। মাঝে মাঝে কর্ম পরিবেশে এমন সব মুহূর্ত তৈরি হয় যখন খুব সহজেই কথা বলাটা আর হয়ে ওঠে না। যেমন ধরা যাক, বিশেষ কোন অফিসিয়াল মিটিংয়ের আগে কিংবা অফিস করিডোরে হঠাৎ একে অপরের সাথে দেখা হলেও কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে এক ধরণের সংকোচ তৈরি হয়। যার প্রভাব পড়তে পারে আপনার যোগাযোগ দক্ষতায়। 

কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনেই সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে এক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হতে পারে সাহিত্যের পঠন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কর্মস্থানে বিভিন্ন পদস্থ ম্যানেজার ও স্টাফ সদস্যরা যখন সাহিত্যের পঠন, ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরের সাথে শেয়ার করেন এবং সাহিত্যের সাথে সত্যিকার অর্থে ব্যক্তির সংযোগ ঘটাতে সমর্থ হন, তারা তাদের কাজের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনয়ন করতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগে আগ্রহী হন।

উক্ত পদ্ধতিতে ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ সদস্যরা সাহিত্যের আদলে একে অপরের আইডিয়া খুব দ্রুতই শেয়ার করতে পারে এবং এই আইডিয়া শেয়ারের মাধ্যমে নিজস্ব একটি কমিউনিটি তৈরি করা সহজতর হয় এবং এরা প্রত্যেকেই মানসিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিয়ভাবে সমভাবাপন্ন হওয়ায় যেকোনো কঠিন কাজও আইডিয়া শেয়ারের মাধ্যমে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করা সম্ভব।

বই পড়ুয়া সদস্যরা কর্মস্থানে গবেষক, প্রশাসক ও অন্যন্য সহকর্মীদের সাথে মাসিক কিংবা সাপ্তাহিকভাবে মিলিত হয়ে কোন বিশেষ একটি বা দুইটি বইয়ের উপর আলোচনা করতে পারেন এবং সেই বইয়ের প্লট সম্পর্কে নিজস্ব মূল্যবোধ, বিশ্বাস, সমস্যা সবটা নিয়েই ভিন্ন ভিন্ন এবং গ্রুপ ভিত্তিক কথাবার্তা হতে পারে, যা আপনার মনকে প্রসারিত করার পাশাপাশি সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোন খামতি থাকলেও খুব সহজেই তা পূর্ণ হবে।

No comments:

Pages