Client: Oxfam Project: BID4CJ Documentary Video Script Duration: 6 min


Visual

Audio

সকালের সূর্যের আলো গ্রামের পুকুরের উপর পড়েছে। 

ছোট একটি ছেলে সাথে নিয়ে মিনা পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করছে ।

ছেলেটি পুকুরের পানিতে নিজের মুখ দেখে হাসছে। 

মিনা ছেলেকে নিয়ে কলসি কাখে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে আরও কিছু নারী। তাঁদের সবার কাঁধে কলসি। 

মিনা বাড়ি এসে পানির কলস রাখে। ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত মুখের শট। 

ন্যারেটর:

উপকূলের মানুষের প্রতিদিন শুরু হয় নানামুখী সংকট ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। সীমিত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা আর জীবিকার সুযোগের ভিড়ে অন্যতম করুণ বাস্তবতা হলো নিরাপদ পানির অভাব। লবণাক্ত ও অনিরাপদ পানি ব্যবহার করে বছরের পর বছর তারা বয়ে বেড়াচ্ছে নীরব রোগ, নীরব কষ্ট। তবু আশার আলো ফেলে না তারা। এক ফোঁটা বিশুদ্ধ পানযোগ্য পানির আশায় বুক বেঁধে এগিয়ে চলে প্রতিটি সকাল।

কাট টু 

মনিকা ক্যামেরায় কথা বলতে শুরু করবে। মনিকা কথার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ক্যামেরায়-

  • নষ্ট ফসল, লবনাক্ত পানি, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির ফুটেজ

  • স্থানীয় লবনাক্ত পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করছে মনিকা, কিন্তু লবণের আস্তরণ দেখে আবার তা ফেলে দিচ্ছে। 

  • মনিকা স্থানীয় নারী বন্ধুদের (কমিউনিটি লিডার) সাথে কথা বলছে, তারা মনযোগ দিয়ে মনিকার কথা শুনছে।  

  • সবার মাঝে ইতিচাবক পরিবর্তনের আশা। 

  • সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছুটছে দৃঢ় প্রত্যয়ে। 

মনিকার সাক্ষাৎকার:
উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। লবণাক্ততা, ঝড় বন্যা আমাদের প্রত্যেকের জীবন আর জীবিকাকেই গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এই ক্ষতি মোকাবেলায় কিছু করার ইচ্ছে অনেক দিন থেকেই। কিন্তু একা তো কিছু করা সম্ভব নয়! তবে বিশ্বাস ছিল স্থানীয় নারী ও ভুক্তভোগীদের একত্রিত করতে পারলে আমরা নারীরাই হয়ে উঠতে পারি বড় শক্তি। 

কাট টু 

ইন্টারভিউ এর সাথে সাথে শারমিনের নিজেকে পরিবর্তনের ইচ্ছে ও স্পৃহার ছবি ভেসে উঠবে

শারমিন, মনিকা সহ স্থানীয় নারীরা কমিউনিটির অন্য নারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলছে । 

গ্রুপ ভিত্তিক আলোচনায় কমিউনিটি লিডারদের সাথে পারস্পারিক অংশগ্রহণ করছে স্থানীয়রা। 

শারমিন (সাক্ষাৎকার):

কমিউনিটিতে টেকসই ও ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ শুরু হয় নিজেদের পরিবর্তনের উপযোগী করে গড়ে তোলার মাধ্যমে। যার জন্য প্রয়োজন ছিল প্রশিক্ষণ, সচেতনতা, আর নিজের শক্তির প্রতি অটুট বিশ্বাস। কারণ পরিবর্তন আসে তখনই, যখন মানুষ নিজেই হয়ে ওঠে সেই পরিবর্তনের চাবিকাঠি।  

কাট টু 

মনিকার সাক্ষাৎকারের সাথে দেখবো-

  • মনিকা কমিউনিটি লিডারদের নিয়ে নোটবুক, চিত্র আঁকছে বা নোট করছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে করণীয় নিয়ে। 

  • ভাবনা ও পরিকল্পনাগুলো শেয়ার করছে একে অপরের সাথে। 

  • কমিউনিটি লিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠকে আলোচনা করছে পরিকল্পনা নিয়ে, চিত্র নিয়ে।  

মনিকার সাক্ষাৎকার:
আমরা বুঝতে শুরু করেছিলাম পরিবর্তনের জন্য কী করা দরকার, কোন পথে এগোলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। আসলে আমাদের দরকার ছিল এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আমরা নিজেরাই বলতে পারি আমাদের চাওয়া কী, আমাদের সংকট কোথায়। একটি জায়গা, যেখানে আমরা একসঙ্গে দাঁড়াবো, একতাবদ্ধ হবো, আর নিজেদের সমস্যার সমাধানে খুঁজে নেবো নিজেদের পথ।

কাট টু 


BID4CJ প্রকল্পের এনিমেটেড ভিজ্যুয়াল এবং লক্ষ্যগুলো টেক্সট আকারে উঠবে ন্যারেটরের বলার সাথে সাথে। 



ন্যারেটর:

উপকূলে বসবাসকারীদের স্বপ্ন আর প্রয়োজনের জায়গা থেকেই পথচলা শুরু হয় Blue Economy and Inclusive Development for Climate Justice- BID4CJ-এর। যার মূল লক্ষ্য হয় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। কমিউনিটিকে ক্ষমতায়িত করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, এবং তাদের কণ্ঠ নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছে দেওয়া। 


কাট টু

ফেমিনিস্ট ক্লাইমেট মুভমেন্ট বিল্ডিংয়ের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সচেতনতামূলক সেশনের বিভিন্ন ফুটেজ দেখব।


কেউ কেউ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় থাকা  পোস্টার ও চার্ট মনোযোগ দিয়ে দেখছে। 


প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শারমিনসহ অন্য নারীরা অংশ নিচ্ছে এবং নিজেরা একে একে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। বাকিরা মনযোগ দিয়ে শুনছে।  


প্রশিক্ষণের শেষ দিকে অংশগ্রহণকারীরা হাত উঁচিয়ে অঙ্গীকার করছে ইতিবাচক পরিবর্তনে। 


শারমিন (সাক্ষাৎকার): 

BID4CJ প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় ফেমিনিস্ট ক্লাইমেট মুভমেন্ট বিল্ডিংয়ের এই কার্যক্রমে

আয়োজিত হয় ১২০টিরও বেশি প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সচেতনতামূলক সেশন। যেখানে অংশ নিয়েছি আমরা  ৫,১০০ জন উপকূলীয় নারী। যার উদ্দেশ্য ছিল ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় চ্যালেঞ্জ ও নিজেদের করণীয়। অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ ভাগাভাগির মাধ্যমে এখন আমরা আর জলবায়ু সংকটের ভুক্তভোগী নয়, বরং সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ও গর্বিত অংশীদার।

কাট টু 

স্থানীয় প্রশিক্ষণ নেয়া নারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলাকায় ঘুরছে (কোন জায়গায় পুকুর খনন, বাধ ও সবুজ বাগান হবে তা পর্যবেক্ষণ করছে)  এবং স্থানীয়ভাবে নারী ও প্রান্তিক পুরুষদেরও সচেতনতায় এগিয়ে আসছে, উদ্বুদ্ধ করছে। 



মনিকার সাক্ষাৎকার:

প্রশিক্ষিত এবং একতাবদ্ধ হওয়ার পর আমরা উপকূলীয় নারীরা উদ্যোগ নেই পুকুর খনন, সবুজ বাঁধ ও বৃক্ষরোপণের মতো ইকো সিস্টেম রিস্টোরেশনের মজবুত পদক্ষেপ। কারণ জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এর বিকল্প নেই। 

কাট টু 

বেনিফিশারি রেশমী নিজের সবজি বাগানে যাচ্ছে বৃক্ষরোপন করছে, পানি দিচ্ছে। 

ধীরে ধীরে ক্যামেরা রেশমীর পরিবর্তন ও বাগানের ছবি (বিউটি শট) উঠে আসবে। 

রেশমী সবজি বাগানের আগাছা পরিস্কার করছে। তাকে সহযোগিতা করছে অন্য নারীরা।

রেশমির সবজি বাগান থেকে সবজি সংগ্রহ করছে সেই দৃশ্য। তাঁদের মুখে হাসি। 

নদীর পাড়ে, স্কুল প্রাঙ্গণে ঐক্যবদ্ধরা নারীরা বৃক্ষরোপণ করছে। তাদের সহযোগিতা করছে প্রোজেক্ট প্রতিনিধি ও স্কুলের শিক্ষকরা।

রেশমীর সাক্ষাৎকার:
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততার সঙ্গে আমাদের লড়াই ছিল প্রতিদিনের। তবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করায় আমাদের সবার জীবনেই এখন ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। উঠানের পাশে সবজি বাগান করেছিনদীর পাড়ে, স্কুল প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেছি। নিজেরাও হয়েছি স্বাবলম্বী। সবচেয়ে বড় অর্জন একজন নারী হিসেবে নিজের ওপর বিশ্বাস করতে শিখেছি।

 

কাট টু 

দেখা যাবে, বৃষ্টির পানি ড্রাম বা ট্যাংকে জমা হচ্ছে। এবং সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করে নিয়ে ব্যবহার হচ্ছে রান্না ও গৃহস্থালি কাজে। 

মনিকা, রেশমীসহ উপকূলীয় নারীরা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কৌশল শিখছে প্রজেক্ট প্রতিনিধির কাছে।

 মনিকা, রেশমীসহ কমিউনিটি লিডাররা প্রোজেক্ট প্রতিনিধিদের সাথে মৃত পুকুরের কাছে যাচ্ছে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে পুকুর পুনঃখননের বিষয়ে কথা বলছে। 

স্থানীয়দের চোখে মুখে আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগী হওয়ার ছাপ। 

মনিকার সাক্ষাৎকার:
ইকোসিস্টেম রিস্টোরেশন মানে শুধু বৃক্ষরোপণ বা সবুজ বাগানই নয়, পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের অংশ হিসেবে আমরা উপকূলীয় নারীরা শিখছি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং পুকুর পুনঃখননের মতো কার্যকর পদ্ধতিতে নিরাপদ পানি সংগ্রহের কৌশল। 

 

কাট টু 

উপকূলের অসংখ্য নারী নিজেদের ইতিবাচক পরিবর্তনে ব্যস্ত। স্কুল প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপনের পরে পরিচর্যা করছে তারা নিজেরাই। 

আবার বৃষ্টি পানি সংরক্ষণের কৌশল শিখে নিজেরাই সহযোগিতা করছে একে অপরকে। 

নারী উদ্যোক্তাদের বাগান থেকে সবজি ভর্তি ডালা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারী বিক্রেতারা।  

ন্যারেটর:

উপকূলের নারীদের আত্মনির্ভরশীল করতে BID4CJ প্রকল্পের জন্ম হয় নি, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় তাদের উদ্যোগ ও আত্মবিশ্বাসকে দিয়েছে প্রাপ্য সম্মান। এই স্বীকৃতি শুধু উপকূলবাসীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি, বরং নারীর ক্ষমতায়নেও রেখে চলেছে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা।

কাট টু 

পানি ভর্তি কলস বা পাত্র কাঁখে বেনিফিশারি সোনিয়া অন্যদের সাথে হেঁটে আসছে। মেম্বারের উপস্থিতিতে স্থানীয় নারীদের কথোপকথনের শট দেখবো।

প্রকল্পের প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সোনিয়া প্রতিবেশী নারীরা মৃত পুকুর পুনঃখননে দলবেঁধে কাজ করছে। পুনঃখনন হওয়া পুকুর থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করছে সোনিয়া স্থানীয় নারীরা। 

সোনিয়ার সাক্ষাৎকার:
নিরাপদ পানির জন্য আগে মাইলের পর মাইল হেঁটেছি। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের চেষ্টাও করেছি। তবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখন যেভাবে করছি, তাতে পানি সারা বছর ব্যবহার করা যায়।  

উপকূলীয় গ্রাম। ঝড় বা বৃষ্টির আভাসে পূর্ব সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিচ্ছে একসাথে স্থানীয়রা। 

ধীরে ধীরে ব্লার হয়ে টেক্সট দেখবো-

Blue Economy and Inclusive Development for Climate Justice-BID4CJ প্রকল্প

এপর অক্সফাম এর লোগো (উপরে মাঝখানে) এবং ব্যাকড্রপে বা ব্যানারে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, কোডেক বেলার লোগো (নিচ দিকে সবগুলো পাশাপাশি) দৃশ্যমান হবে।

ন্যারেটর:


সব ধরনের দুর্যোগ ও প্রতিকূলতার মাঝেও উপকূলবাসী যেন নিরাপদে বাঁচতে পারে সেই লক্ষ্যে  ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করে  BID4CJ প্রকল্প। অক্সফামের সঙ্গে একসাথে এই উদ্যোগে যুক্ত হয় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, কোডেক এবং বেলা - উপকূলের মানুষের পাশে, টেকসই ভবিষ্যতের আশায়।

কাট টু 

ম্যাপে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা কক্সবাজার এলাকার উপকূলীয় অঞ্চল দেখা যাবে এবং পরে জুম ইন করে BID4CJ প্রোজেক্ট এরিয়া টেক্সট উঠবে।

কমিউনিটির মানুষের ইচ্ছে ও আগ্রহের কথা মনোযোগ সহকারে শুনছে প্রকল্প প্রতিনিধিরা। 

প্রকল্পের প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় রেশমা, মনিকার মতো নেতৃস্থানীয় নারীরা উঠান বৈঠকে কথা বলছে। 

প্রোজেক্ট প্রতিনিধি:

জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনার কয়রা এবং কক্সবাজারের মহেশখালী ও চকরিয়া। এসব এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নির্মম বাস্তবতা।


এই বাস্তবতা থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু হয় উপকূলীয় মানুষের জীবনযাত্রায় টেকসই পরিবর্তন, অন্তর্ভুক্তি, এবং জলবায়ুর প্রভাবমুক্ত একটি ন্যায্য ও নিরাপদ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। আর যখন আমরা সেই মানুষের মুখেই শুনি তাদের চাওয়া, স্বপ্ন আর সম্ভাবনার কথা—তখন আমাদের কাজ শুধু সহজই নয়, হয়ে ওঠে অনেক বেশি অর্থবহ ও কার্যকর।

কাট টু 

স্থানীয় মেম্বার শ্যামল দত্তের কথার সাথে ক্যামেরায় দেখা যাবে মনিকা-রেশমাসহ কমিউনিটি লিডারদের সাথে কথা বলছেন শ্যামল দত্ত। কমিউনিটি লিডারসহ স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধ কাজ দেখে আনন্দ পাচ্ছে সে (পুকুর খনন, সবজি বাগান)। 

শ্যামল দত্তসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তাদের ওয়ার্কশপে অংশগ্রহনের দৃশ্য। প্রকল্প প্রতিনিধি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

কমিউনিটির নারীরা কথা বলছেন। শ্যামলদত্তসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা দাঁড়িয়ে কথা বলছে। অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। 

শ্যামল দত্ত সাক্ষাৎকার:
লবণাক্ততার কারণে নিরাপদ পানির সমস্যা এখানে দীর্ঘদিনের। সরকারী সহায়তার অভাবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু করতে পারি নি! তবে মনিকা, রেশমিদের এই কমিউনিটি দেখে এখন আনন্দ পাই, ওরা প্রমাণ করেছে একতাই বল। একই সাথে বলবো BID4CJ প্রকল্পের কথা। এই প্ল্যাটফর্ম ওদের  প্রত্যেকের স্বপ্ন পূরণ ও জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। ওয়ার্কসপে অংশ নেয়ার পর আমিও শিখেছি, নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার  করেছি।  

কাট টু 

প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে আয়োজিত ওয়ার্কশপের আরও কিছু দৃশ্য/ফুটেজ। 

চিত্র/ডায়াগ্রাম দেখিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন প্রকল্প প্রতিনিধিরা। কেউ প্রশ্ন করছেন দাঁড়িয়ে।

গ্রুপ ছবি, ওয়ার্কশপ শেষে সবার মুখে হাসি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। 

ন্যারেটর:
প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে কোন একক উদ্যোগই যথেষ্ট  নয়, তাই সরকারি কর্মকর্তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ১৫টিরও বেশি ওয়ার্কশপ। যেখানে জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় প্রত্যেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও করণীয় নিয়ে মতামত ভাগাভাগি করেন। উঠে আসে স্থানীয়ভাবে কার্যকর নানা সমাধান ও নতুন ভাবনা। 

কাট টু 

স্থানীয় নারী নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলোকে BID4CJ প্রকল্প প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সবজি চাষ এবং বাড়ির আঙিনায় বাগান করার জন্য প্রয়োজনীয় বীজ কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে। পাশে আছেন স্থানীয় মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিরা। 

নারী উদ্যোক্তা বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার করে বাগান উপযোগী করছে। মনিকা, রেশমার মতো নেতৃস্থানীয় নারীরা সহযোগিতা করছে বীজ ছিটানো ও পরিচর্যায়। 

স্ত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সাহস দিচ্ছেন তাঁদের স্বামী। প্রকল্প প্রতিনিধিদের থেকে পাওয়া সরঞ্জাম ব্যবহারের নিয়ম খুটিয়ে দেখছেন কেউ কেউ। 

মনিকার সাক্ষাৎকার:

উদ্যোগ, স্বপ্ন আর চাওয়া হয়তো এক ছিল, কিন্তু পরিবর্তনের প্রভাব এভাবে দৃশ্যমান হবে প্রাথমিক দিনগুলোতে তা ভাবতে পারি নি। আজ উপকূলীয় অঞ্চলের অসংখ্য পরিবার, বিশেষ করে নারীরা, দক্ষভাবে সবজি চাষে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। তাদের আগ্রহ, পরিশ্রম ও পারস্পরিক সহযোগিতায় গড়ে উঠছে একটি টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের ভিত্তি।এই পথচলায় BID4CJ আমাদের পাশে থেকেছে চাষাবাদের প্রশিক্ষণ, উন্নত বীজ, ও প্রয়োজনীয় কৃষি সরঞ্জামের সহায়তা দিয়ে।

কাট টু 

মহেশখালীতে গড়ে ওঠা সবুজ প্রকল্পে কাজ করছে স্থানীয় কমিউনিটি।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপদ পানির উৎস হিসেবে নিশ্চিত হয়েছে পুনঃখননকৃত পুকুরগুলো। সেই পানি বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে গৃহস্থালীরা। কৃষি জমিতে পানি দেয়ার মাধ্যমে সতেজ হয়ে উঠেছে ধানক্ষেত। 

পরিবারগুলো বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংকির ভিজ্যুয়াল দেখব।

ন্যারেটর:
BID4CJ থেকে প্রাপ্ত লক্ষাধিক ম্যানগ্রোভ চারা মহেশখালীতে স্থানীয়দের নেতৃত্বে রোপণের মাধ্যমে ১০০ হেক্টর জমি পুনরায় সবুজ হয়ে উঠেছে। শ্যামনগর চকরিয়ায় নারী নেত্রীরা উদ্যোগ নিয়েছেন ৫টি পুকুর পুনঃখননের, যা স্থানীয়দের নিরাপদ পানির চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখছে। উপকূলীয় অঞ্চলের ৫০টিরও বেশি পরিবার এখন দক্ষ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে।

কাট টু 

অন্তর্ভুক্তিমূলক গ্রীণ বিজনেস মডেল  এর গ্রাফিক্যাল উপস্থাপন। 

জয় এন্টারপ্রাইজ নামের উদ্যোক্তার বিজনেসের ফুটেজ দেখানো হবে। দোকানের সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে পুরো বিজনেসের ভিজ্যুয়াল। তাকে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কমিউনিটি ও সরকারী-বেসরকারি প্রতিনিধিরা। 

মনিকার সাক্ষাৎকার:


বৃক্ষরোপণ, সবুজ বনায়ন এবং পুকুর পুনঃখননের মতো পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের পর, আমরা উপকূলবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এক অভিন্ন লক্ষ্যকে সামনে রেখে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতা এবং BID4CJ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে তোলা হচ্ছে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘গ্রীণ বিজনেস মডেল’। এতে কেবল উপকূলবাসীর জীবিকার নতুন সুযোগই তৈরি হবে না, বরং পরিবেশবান্ধব হওয়ায় নিশ্চিত হবে টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি। 

কাট টু কাট

স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা ও বেনিফিশারি মরিয়মের কথার সাথে সাথে দেখা যাবে -

মরিয়ম পান খাচ্ছে, তার সামনে পড়ে আছে কিছু সুপারির খোল। 

এরপর স্থানীয় কমিউনিটির সাথে কথা বলছে মরিয়ম। কমিউনিটির সাথে থাকবে স্থানীয়  মেম্বার, প্রোজেক্ট প্রতিনিধি। তাদের দেখাচ্ছে সুপারির খোলের স্তুপ। 

মরিয়মকে দেখব সুপারির খোল দিয়ে প্লেট তৈরি করছে। সুপারির খোল প্রসেস করছে। প্লেটগুলো স্তুপ আকারে দেখা যাচ্ছে। 

কেউ একজন এসে প্লেট নিয়ে যাচ্ছে, মরিয়ম টাকা গুনে নিচ্ছে। মরিয়মের চোখেমুখে উচ্ছ্বাস।


মরিয়ম (স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা:(Clients Recommendation)
আমার নিজস্ব কোনো আয় ছিল না, সংসার চলত স্বামীর টাকায়। বছরখানেক আগে একবার আত্মীয়ের গ্রামে গিয়ে দেখলাম একজন নারী সুপারি খোসা দিয়ে প্লেট তৈরি করছে। আগ্রহ হয়, কিন্তু যন্ত্রপাতির অভাবে কিছু করতে পারছিলাম না। পরে কমিউনিটি লিডাররা BID4CJ-  সহযোগিতায় আমাকে যন্ত্রপাতি বাজার খুঁজে পেতে সাহায্য করেন।

কাট টু কাট

উদ্যোমী উদ্যোক্তা ও তাদের ব্যবসায়িক পণ্যের শট দেখবো। 

দেখা যাবে, উদ্যোক্তাদের মাঝে বক্তব্য দিচ্ছেন স্থানীয় কমিউনিটি লিডাররা, 

গ্রীণ বিজনেস মডেলের তিনটি ভাগের টেক্স আকারে  উপস্থাপন, এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র (অনলাইন/অফলাইন) থেকে তথ্য পরামর্শ নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

ন্যারেটর:
স্থানীয়  কমিউনিটির উৎসাহে নিত্যনতুন ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে এভাবেই তৈরি হচ্ছেন উপকূলের অঞ্চলের উদ্যোক্তারা। উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে টেরিকো ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি, নার্সারি, ভেষজ পণ্য উৎপাদন, হস্ত কুটির শিল্প, আচার প্রস্তুত ইত্যাদি যার সফল বিকাশে BID4CJ ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে ৩৬ জন নতুন উদ্যোক্তাদের। উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ করতে গ্রীণ বিজনেস মডেল অনুযায়ী উদ্যোগগুলোকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে—

* প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা

* স্টার্টআপ

* উদ্ভাবনী ধারণা

গড়ে তোলা হয়েছে চারটি অনানুষ্ঠানিক ব্যবসায়িক হাব। যার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা যুক্ত হচ্ছেন বেসরকারি খাত অনলাইন মার্কেটপ্লেসে।  

কাট টু কাট

ভোরের আলো ফুটছে। স্থানীয় কমিউনিটি নিজেরা প্রশিক্ষণ কর্মশালা করছে। স্কুল বাড়ির উঠানজুড়ে সবুজের সমারহ। পুনঃখননকৃত পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করছে স্থানীয়রা। পারিবারিক বন্ধনের দৃশ্য / নারী নেতৃত্বের ইতিবাচক পরিবর্তনের দৃশ্য দেখবো।

ন্যারেটর:
পরিবর্তন চাইলেই সম্ভব, এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মনিকা, রেশমিদের মতো স্থানীয় কমিউনিটি লিডাররা। তাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড দেখিয়েছে পথ। যেখানে নেতৃত্ব মানেই শুধু নির্দেশ নয়, বরং নিজে এগিয়ে গিয়ে অন্যদের সাহস জোগানো। তাহলেই উপকূল শুধু সংগ্রামের গল্প নয়, হয়ে উঠবে সম্ভাবনার উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।  

লোগো, নেমোনিক ট্যাগলাইন আসবে।



No comments:

Pages